শীতে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা * হাঁপানি

web-655721
ডাঃ এস.জামান পলাশ

শীতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত। ঠা-ার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশি খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত দেহের দুর্বলতার সুযোগে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে নাকের সর্দি যদি খুব ঘন হয় বা কাশির সঙ্গে হলুদ রঙের কফ আসতে থাকে তবে তা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে। এ রোগে তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই হয়।

শীতের প্রকোপে শুধু ফুসফুস নয়, সাইনাস, কান ও টনসিলের প্রদাহও বাড়ে যেমন ঘন ঘন সাইনুসাইটিস, টনসিলাইটিস, অটাইটিস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেয়াই ভালো। প্রায় ক্ষেত্রেই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। এছাড়া যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রঙ্কাইটিস আছে, ঠা-া আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা দেয়। বলা চলে শীতে অসুখের মূল ধাক্কাটা যায় শ্বাসতন্ত্রের ওপরই। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়ে নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ হাঁপানি রোগী ও ধূমপায়ীদের।777

ঠান্ডা ও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

* ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা। কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।

* প্রয়োজন মতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কানঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা ভালো।

* ধুলাবালি এড়িয়ে চলা

* ধূমপান পরিহার করা

* ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।

* হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

* যাদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে, তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেয়া উচিত।

* তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

* হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পর হাত ধোয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *