সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক

1374467747.

= পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। অবশ্য এই সম্পর্কের মাঝে গভীর ভালোবাসা, সত্য, বিশ্বাস ও নির্ভরতা থাকা চাই।
বিজ্ঞান বলে ভালোবাসাই নারী ও পুরুষের মাঝে হৃদয়ের অটুট বন্ধন তৈরি করে। তৈরি করে সাংসারিক বন্ধন। ভালোবাসা ব্যতীত কোনো সাংসারিক জীবন, দাম্পত্য জীবন কখনই সুখের হয় না, হতে পারেনা। স্বামী স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজন শূন্য।
যে কোনো সংসারেই সাবলীল ও মধুর আনন্দ বজায় রাখতে দরকার দু’জনার ঐকমত্য। অবশ্য এ ঐকমত্যা সবসময় বা সবক্ষেত্রেই সমান হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আসল কথা হল দু’জন দু’জনার সংসার জীবন কিভাবে সুখ সমৃদ্ধতায় ভরিয়ে তোলা যায়, কি করলে দু’জনার মাঝে মনের আদান-প্রদান চমৎকারভাবে অক্ষুণ্ণ থাকবে, এমন বিষয়গুলোতে অপরের ইচ্ছার গুরুত্ব দেয়া।1452451_668070979904346_1401074520_n
একজন সুন্দর মনের সুন্দর গুণের অধিকারী স্ত্রী সংসারকে তার নিজের আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারে, সাজিয়ে তুলতে পারে সংসার জীবনকে সুখের স্বর্গীয় বাগানের মতো। তবে এই কাজের জন্য দরকার প্রেমিক স্বামীর স্ত্রীর প্রতি ঐকান্তিক মায়া-মমতা ও সুগভীর ভালোবাসা।
স্ত্রীকে স্বামীর বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রিয়তমা স্ত্রীকে যত বেশি বোঝার চেষ্টা থাকবে, তত বেশি তার ভালোবাসা উপলুব্ধ হবে, তত বেশি সংসার জীবনে সুখী হওয়া যাবে।
সুখ সবসময় নিজে থেকে এসে ধরা দেয়না, ধরতে হয়, তৈরি করে নিতে হয় চমৎকার রূপে। এজন্যই স্বামী স্ত্রী দু’জনার মাঝে থাকতে হয় প্রচুর আত্মবিশ্বাস ও সমঝোতা এবং সুনিপুণ স্বচ্ছ অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা।image_25194.1456023_10201682903133466_2050239813_n
স্বামীকে মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর কথা ও কাজকে গুরুত্ব দেয় বুদ্ধিমান ও রোমান্টিক স্বামীরা জেনে রাখা ভাল, স্ত্রীকে হেয় করে বা তার কথা বা কাজকে অবহেলা করলে কিংবা গুরুত্ব না দিলে হৃদয়ের টান কমতে থাকে, জন্ম নেয় অজানা চাপা ক্ষোভ।যাকিনা ভালবাসার দূর্গে আঘাত হানতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনে একে অপরকে সর্বোত্তম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারলেই এবাধন যাবেনা ছিড়ে। বরং এক অন্যের প্রতি আরো আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবে।
মনোবিজ্ঞান বলে ছোট বড় যে কোনো ধরনের কাজ করার আগে নিজের স্ত্রীর সাথে তা খোলা মনে আলাপ আলোচনা বা পরামর্শ করে নিলে সে কাজে সুফল আসবে কর্ম উদ্দীপনা প্রস্ফুটিত হবে। হতে পারে কোনো কাজে বা কোনো পদক্ষেপে ভুল লুকিয়ে আছে, সেয়ারিংয়ের ফলে সে ভুলটি ধরা পরবে,সহয হবে কাজ, মজবুত হবে সম্পর্ক। অনেক উটকো ঝামেলা বা অবাঞ্চিত বিপদ থেকে রক্ষাও পেতে পারেন বা তার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে করে মন চাপমুক্ত হবে, টেনশন লাঘব হবে, ভালোবাসায় তিক্ততা আসবেনা।images৫৫৫৫
স্বামী-স্ত্রীর মিলিত ভালোবাসা মিলিত বুদ্ধি ও চিন্তা ভাবনার সমন্বয়েই একটি ছোট সংসার সুখময় হয়ে উঠবে। স্ত্রীর ওপর কখনই অযথা রাগ করা উচিত নয়, কারণ অসুন্দর রাগ প্রিয়তমা স্ত্রীর সুন্দর আবেগ অনুভূতিকে দারুণভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে ঝরঝরে, সতেজ, প্রাণবন্ত মায়া-মমতা,আবেগ একসময় তিক্ততায় রূপ নিতে পারে। যা কখনোই দাম্প্যত্ব জিবনের জন্য মঙ্গলময় নয়।
সাইকোলজিক্যাল সাইন্স বলে প্রেমিক স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি মনের আবেগ-অনুভূতি, কামনা বাসনা, আকাক্ষা প্রকাশ করতে হবে। নিজের মনের মধ্যেই লুকিয়ে রাখলে বোঝাপরা কম হয়। প্রতিদিনই আদরের প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বার্তা, গল্প গুজব, দুষ্টামি, আকার, ইঙ্গিত, সপর্শ, ইত্যাদি নানাভাবে আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করা শ্রেয়। ফলে বালবাসার অনুভূতি বিকোশিত হয়।
দাম্পত্য জিবন সুন্দর ও সুখের সংসার চাইলে বিষয়গুলোতে মনোযোগী হওয়া চাই।

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *