সুদের টাকায় বাড়ি-গাড়ি এবং জাহান্নামের হুশিয়ারি !!! প্রশ্ন: ব্যাংকের সাহায্য ছাড়া গাড়ি কিংবা বাড়ি ক্রয় করার সামর্থ আমার নেই। এমতাবস্থায় আমি সুদ থেকে কিভাবে বাঁচতে পারি?
উত্তর: আপনারা যদি চান, যুগের সাথে এগুতে পারেন, পৃথিবী যে পথে চলছে সে পথ ধরে চলতে পারেন। আমি আমার পথ বলে দিচ্ছি।
আমি ৫টি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করেছি। আমি আমার দেশ ট্রিনিড্যাড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক ছিলাম। সেই পদ আমি স্বেচ্চায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। অনেক পাকিস্তানী আমাকে আহাম্মকের খেতাব দিয়েছিলো। শুধুমাত্র বোকারাই পারে মোল্লাহ হওয়ার জন্য ডিপ্লোমাট এর চাকুরী ছেড়ে দিতে। কিন্তু তখন যদি আমি চাকুরী ছাড়ার সিদ্ধান্ত না নিতাম, তাহলে আজ আপনাদের সামনে দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারতাম না। তাই অনেক কিছু আছে যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
আমার বয়স এখন সত্তরের ওপর। আমি কখনও নিজের জন্য বাড়ী কিনতে পারিনি। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো এক বেডরুম দিয়ে আমার বাড়ির প্রথম তলা নির্মাণ করতে পেরেছিলাম। আর ট্রিনিড্যাড থেকে আসার আগে ২০১১ সালে আরো দু’টি বেডরুম দিয়ে দ্বিতীয় তলা সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম।
আর এভাবেই অতীতে বাড়ী নির্মাণ হতো। আমি কখনও ব্যাংক থেকে লোন এনে বাড়ী নির্মাণ করতে যাইনি। আমি এর আগে বাসা বাড়া করে থাকতাম।
আমি ১০ বছর আমেরিকার নিও ইয়র্কে ছিলাম। একটি ছোট্ট এপার্টম্যান্ট ভাড়া করে থাকতাম। হালাল রোজগার করে এর চেয়ে ভালো এপার্টমেন্টে থাকার আমার সামর্থ ছিলো না। আর আমি এভাবে কষ্ট করে থেকেছি যাতে আমি আমার ধর্মের সাথে প্রতারনা না করি।
যে গাড়ি আমি ড্রাইভ করতাম তার দাম ছিলো মাত্র ৫০০ ডলার। ১২ বছর আমেরিকায় থাকার পর স্বেচ্চায় আমি ২০০১ সালে হিজরত করি।
সুতরাং ইচ্ছে করলে আপনি পারবেন পৃথিবীর পথে এগুতে, আপনি খুব বড় চাকুরী চান, আপনি বড় বাড়ি চান, দামি গাড়ি চান, তাহলে যান ব্যাংক থেকে লোন এনে সুদ দিতে থাকেন। আর যখন আপনি জাহান্নামের আগুনে পুড়বেন, দয়া করে আমাকে ফোন করবেন না। জাহান্নাম থেকে আমাকে কোন ই-মেইল করবেন না।
আর যদি চান, আপনি বিপরীত দিকে হাটতে পারেন। বিপরীত দিকটি হচ্ছে; আমাকে যদি বড় বাড়ির স্বপ্ন ত্যাগ করতে হয়, গাড়ির আশা ছাড়তে হয়, চাকুরীও ছেড়ে দিতে হয়, বাসস্থান ত্যাগ করতে হয়, শহর ছেড়ে দিয়ে যদি শেষ পর্যন্ত গুহার ভেতর গিয়েও আশ্রয় নিতে হয়, আমি তাও করতে রাজি, তবুও আমি কোন হারাম কাজ করবো না, কারন আমি আমার ইসলামকে ত্যাগ করতে পারবো না।
-আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
১৬ রমাদ্বান ১৪৩২ হিজরী / ১৬ আগষ্ট ২০১১
মালেশিয়ায় ধারনকৃত ‘মোহময় পৃথিবীতে মুসলিম যুব সমাজ’ লেকচার থেকে নেয়া।
অনুবাদ: দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
It seems that Sheikh Imran Hossein’s analysis is coming to reality !!
Government Plan To Transform Israel Into The World’s 1st Cashless Society
আল্লামা ইমরান নযর হোসেন এ সম্পর্কে গত ১৫ বছর ধরেই বলে আসছেন আর এখন দেখা যাচ্ছে শিঘ্রই ইসরাঈল বিশ্বের প্রথম ক্যাশলেস অর্থাৎ কাগুজে মুদ্রার বিলুপ্তি ঘটিয়ে তারা বিশ্বের প্রথম নগদহীন রাষ্ট্র হতে চলেছে… পরিকল্পিতভাবে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার বিলুপ্তি ঘটানো হয়েছিলো মানব জাতিকে দাসে পরিণত করার জন্য।
স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার ব্যবহার কোন কারণ ছাড়াই আইনত নিষিদ্ধ করে তার জায়গায় ভুঁয়া হঠকারিতাপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ হারাম একটি মুদ্রা ব্যবস্থা বা কাগুজে মুদ্রাকে মানব জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আলেম-ওলামারা কি একটি বারও প্রশ্ন করেছেন, এই কাগুজে মুদ্রা কি হালাল নাকি হারাম? ভ্রু কুচকে ফ্যাকাশে মুখ বানানোর কোন দরকার নেই। আমার দেশের ১ পাউন্ড সমান আপনার দেশের কতোটাকা? ১২৫ থেকে ১৩০ টাকি। অর্থাৎ আমার দেশের একটি পাউন্ড কিনতে আপনার দেশের কতোটাকা লাগবে… কি বললেন….? কিন্তু কেন?
এক টাকা বনাম ১ পাউন্ড বা ১ ডলার হতে পারে না? এতে কে লাভবান হচ্ছে? যদি বলেন শেখ হাসিনা, তাহলে পাবনায় গিয়ে আপনার মাথায় ইলেকট্রিক শক দেয়া উচিত, অন্তত ঘুম তো ভাঙবে।
আপনারা যারা সৌদি আরব এবং সৌদি আলেমদের প্রশংসাও তাবেদারি করতে গিয়ে নব্য সালাফি হয়েছেন, আপনারা কি জানেন, আপনার দেশের ১০০০ কোটি টাকা দিয়েও আরব দেশগুলোর এক লিটার তেলও কিনতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে আপনার দেশের টাকা দিয়ে মার্কিন ডলার কিনতে হবে, কেবলমাত্র তখনই সেই মার্কিন ডলার দিয়ে আপনার দেশের সরকার আরবদের কাছ থেকে তেল কিনতে পারবে। তাই মার্কিন ডলার সেই সত্তরের দশক থেকে পেট্রো ডলার।
স্যুটক্যাস ভর্তি বাংলাদেশী টাকা দিয়ে আপনি নিও ইয়র্ক, লন্ডন কোথাও গিয়ে এক কাপ কফিও কিনতে পারবেন না। কারণ আপনার দেশের টাকা নাকি হার্ড কারেন্সি নয়। এখন বুঝতে পারছেন কেন এই কাগুজে মুদ্রা ব্যবস্থা হারাম? আর আপনারা বুঝতে না পারলেও একটি সাধারণ স্কুল ছাত্রও বুঝতে পারবে যে বর্তমান মুদ্রা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের কিছু সংখ্যক মানুষ ধনি হতেই থাকবে, আর যারা গরিব তারা পার্মানেন্ট গরিবই থেকে যাবে। আপনার স্বর্ণ মুদ্রার মধ্যে ইনট্রিনসিক মূল্য ছিলো অর্থাৎ মুদ্রার মুল্য মুদ্রের মধ্যেই স্থায়ী ছিলো। যেমন আজ যদি আপনি ১০০টি স্বর্ণ মুদ্রা আপনার ছেলের জন্য রাখতে পারতেন, তার বয়স ১৮ হলে এই ১০০ স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে সে অনেক কিছুই করতে পারতো। সে জায়গায় আপনি ১০০ টাকা, না ধরে নিলাম ১০০০ টাকা আপনার ছেলের জন্য জমিয়ে রাখেন, সে ১৮ হওয়ার পর এগুলি দিয়ে সম্পদ বাড়ানো তো দূরে থাক্, চাল-ডাল, লবন, মরিচ কিনতেও হিমশিম খাবে।
শুধূ তাই নয়, এখন আমরা দেখতে পারছি বিশ্ব জোড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এবং সব ইসলামিক ব্যাংকের আলাদা শরিয়া কাউন্সিল রয়েছে। বাহ্, ভালো কথা, খুব সুন্দর কথা। কিন্তু এই সব ইসলামিক ব্যাংকের শরিয়া কাউন্সিলে বিরাট বড় পদে বসে যারা ফতোয়া দিয়ে মুরবাহা এবং ইসলামিক মর্গেজকে হালাল বলে চালিয়ে দিচ্ছেন, তারা কি একটি বারও সেই মুদ্রা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন, যে মুদ্রা ব্যবস্থার কথা পবিত্র কোর’আনে রয়েছে, যে মুদ্রা ব্যবস্থা নবী, রাসূলের জামানায় প্রতিষ্ঠিত ছিলো এবং চালুও ছিলো, যে মুদ্রা ব্যবস্থা চার খলিফা থেকে শুরু করে ওসমানিয় খেলাফত পর্যন্ত চালু ছিলো। সবচেয়ে বড় কথা, যে মুদ্রা ব্যবস্থা সর্বকালের শ্রেষ্ট মহামানব, হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, অর্থাৎ স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ব্যবহার করা সুন্নত, সেটিকে সম্পূণ পরিত্যাগ করে আমাদের ওলামা শরিয়া কাউন্সিলে বসে কাগুজে মুদ্রা গুণছেন এবং নানা সুবিধাবাদী ফতোয়া দিচ্ছেন।
মুরাবাহা নামক ছদ্মবেশি সুদ দিয়ে আপনারা সেই সব মুসলিমদের টার্গেট করছেন যারা সুদ থেকে সরে থাকার চেষ্টা করতেন। ইসলামী ব্যাংকিং কে যারা হালাল বলে ফতোয়া দিচ্ছেন তারা কি ওয়ার্লড ইকোনমি এবং ওয়ার্লড মনেটারি সিস্টেম বা বিশ্ব মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ে আদৌ কোন পড়া-লেখা করেছেন? যদি করে থাকতেন তাহলে অনেক আগেই ঘোষণা দিতেন যে, বর্তমান মুদ্রা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হারাম এবং এই ভূয়াঁ কাগুজে কারেন্সি সুদের ওপর ভিত্তি করে ওঠা নামা করে। অথচ আপনারা সেই সুন্নাহ্ মোতাবেক মুদ্রা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। কাগুজে অর্থ যে হারাম তা অনুধাবন করতে হলে পিএইচডি লাগবে না, একজন মুমিন হতে হবে, আর মেরুদন্ডহীন আলেম এর চেয়ে সাধারণ মুমিন হওয়া অনেক ভালো।
গত ২০০ বছরে যায়োনবাদী ইহুদী-খৃষ্টান এলায়ান্স কাগুজে মুদ্রার সমস্থ ফায়দা লুটে নিয়েছে এবং এখন তারা এটিকে হঠিয়ে নিয়ে আসছে আরেকটি নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা। ইলেকট্রনিক মুদ্রা। এটি হবে আর্থিকভাবে মানবজাতিকে ধ্বংস করার শেষ আক্রমন। এবং তাদের শেষ মিশন হলো স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রাকে ফিরিয়া আনা। আর এই মিশনে যদি তারা বিজিত হয় মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি হবে খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। কারণ তারা আমাদেরকে কাচকলা দেখিয়ে, আমাদের পার্মানেন্ট গরিব বানিয়ে, আমাদেরই সুন্নাহ্ মোতাবেক মুদ্রা র্ব্যবস্থাকে চালু করবে অথচ আমরা এতোটাই পিছিয়ে যে, কাগুজে মুদ্রা এবং বিশ্ব মুদ্রা ব্যবস্থা যে সুদের ওপর গড়া তাও আমরা বলতে পারি না।
যায়োনবাদী ইহুদী-খৃষ্টান এলায়ান্স এসব কেন করছে? কারন তারা বিশ্বাস করে খুব শিঘ্রই তাদের কাংখিত এবং পতিশ্রুত মসীহার আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে যে কিনা বিশ্ব নিয়ন্তা রাষ্ট্র ইসরাঈল থেকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করবে এবং তাদের তাওরাতে বর্ণনানুযায়ী সোলায়মান (আঃ) সময়কার স্বর্ণ যুগের আবারও পুনরাবৃত্তি হবে। কিন্তু তার আগে প্রয়োজন একটি নিও ক্লিয়ার বিশ্ব যুদ্ধের মাধ্যমে দুই সুপার পাওয়ার [ন্যাটো-(যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, তুর্কি) এবং
রাশিয়ান এলায়ান্স– (রাশিয়া,
চীন,
ইরান,
সিরিয়া)] একে অপরকে ধ্বংস করে ফেলা।
এবং আল্লাহ্ পাক ভালো জানেন….
দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
২৮ রজব ২০১৪
২৮-০৫-২০১৪
“…আমরা এখন মালহামা/বিশ্ব যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যা মহানবী (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। আপনাদের যদি আখেরী জামানা সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকে,
তাহলে আপনারা সকালের ট্র্যাফিকের মুখোমুখি হয়ে কাজে যাবেন
বিকেলের ট্র্যাফিকের মুখোমুখি হয়ে আবার বাসায় ফিরবেন
রাতে বিরিয়ানি খাবেন
তারপর টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়বেন…
অথচ আপনাদের কোন ধারনাই থাকবে না যে, আপনারা মালহামা / বিশ্ব যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। এবং বর্তমান বিশ্বের আলেম-ওলামাদেরও ঐ একই অবস্থা (বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা এবং আমরা যে একটি বিশ্ব যুদ্ধের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি সে সম্পর্কে কোন ধারনা নেই), এবং এধরনের কথা বলা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক ।
যখন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে; মুসলিম হিসেবে এ বিশ্ব যুদ্ধে আমাদের কোন ভূমিকা থাকবে না, কেননা আমাদের কোন পারমানবিক অস্ত্র নেই। যখন সব নিওক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরিত হবে তখন দোখান (ধোঁয়া- আখেরী জামানার ১০টি বড় আলামতের একটি) সৃষ্টি হবে। মানবজাতির অধিকাংশই তখন মারা যাবে। হয়তো (ফেরেশাতারা) উপর থেকে বলবেন মানবজাতির অধিকাংশ মারা যাওয়াটাই উচিত… (আমাদের অজ্ঞতার কারনে) ।
ইসরাঈল দিন গুনছে, এই ধ্বংসাবশেষ থেকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করা তার জন্য সহজ হবে। এবং ইসরাঈল এর জন্য খুব সুবিধা হবে যদি দুই সুপার পাওয়ার [ন্যাটো-(যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, তুর্কি) এবং
রাশিয়ান এলায়ান্স– (রাশিয়া,
চীন,
ইরান,
সিরিয়া)] একে অপরকে ধ্বংস করে ফেলে।
=আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
১০ মে, ২০১৪, মালয়শিয়া।
অনুবাদ- দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
https://www.youtube.com/watch?v=TRHRvon3_0Y
===============================================
চিকিৎসা বিষয়ে জানার জন্য লাইক দিয়ে আপনার পেইজ একটিভ রাখুন
https://www.facebook.com/zamanhomeohall