যেসব লক্ষণ দেখে হাঁপানি চেনা, যায় তার মধ্যে রয়েছে
১. শ্বাসকষ্ট, সাথে শুকনো কাশি
২. শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাঁশির মতো বুকে সাঁই সাঁই শব্দ (হুটইজিং)
৩. হঠাৎ দম বন্ধ ভাব অনুভব করা ৪. ধুলাবালি, বিশেষভাবে ঘরের ধুলা, ঠাণ্ডা কিংবা গরমের কারণে শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট
৫. পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট, সাথে বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ
৬. ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট
৭. কষ্টকর কাশি এবং শ্বাসকষ্ট শেষ রাতে বাড়ে। এসব লক্ষণের যেকোনো তিনটি একসাথে থাকলে হাঁপানি চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
হাঁপানিকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
১. সবিরাম হাঁপানি : ক. লক্ষণ মাঝে মাঝে দেখা দেয়, প্রতি সপ্তাহে। ওষুধ না খেলে লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেক সময় লক্ষণ প্রবল হতে পারে খ. মাসে একবারের বেশি রাতের দিকে আক্রমণ হয় না গ. কাজে যোগদান বা স্কুলে যাওয়ার বাধা থাকে না ঘ. স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে ঙ. সামান্য ওষুধ নিতে হয়।
২. মৃদু অথচ স্থায়ী হাঁপানি : ক. সপ্তাহে দু’বার অথবা তিনবার লক্ষণ প্রকাশ পায় খ. স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং ঘুম বিঘিœত হয় গ. মাসে এক বা দু’বার কাজে যোগদান বা স্কুল দিবস নষ্ট হয়।
৩. মাঝারি প্রকোপের স্থায়ী হাঁপানি : ক. প্রতিদিন লক্ষণের প্রকাশ ঘটে। বেশির ভাগ সময় অসুস্থ বোধ খ. স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ঘুম বিঘ্নিত হয় গ. মাসে দু’দিনের বেশি কর্মে যোগদান বা স্কুল দিবস নষ্ট হয়। প্রতিদিন ওষুধের প্রয়োজন হয়।
৪. মারাত্মক আক্রমণাত্মক স্থায়ী হাঁপানি : ক. সর্বক্ষণ লক্ষণের প্রকাশ খ. ঘন ঘন প্রবল আক্রমণ গ. রোগী রাতে ঘুমাতে পারে না। ঘ. ঘন ঘন হাসপাতালে যেতে হয় ঙ. দ্রুত চিকিৎসা না নিলে কাজকর্ম বা লেখাপড়া বিঘিœত হয়।
৫. প্রাণঘাতী হাঁপানি : ক. হঠাৎ লক্ষণের প্রকাশ এবং মারাত্মক আক্রমণ হয় খ. অবিলম্বে হাসপাতালে পাঠাতে হয়।
হাঁপানির অবস্থা বিচার
ক. দিনে কতবার আক্রমণ হয়, যা ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়।
খ. রাতে কতবার আক্রমণ হয়।
গ. ওষুধ ছাড়া চার সপ্তাহের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী লক্ষণযুক্ত সময়ের সংখ্যা।
ঘ. হাঁপানি আক্রমণের কারণে কতগুলো কর্মদিবস বা স্কুল দিবস নষ্ট হয়।
ঙ. স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কতটা ওষুধ প্রয়োজন।
চ. কতবার চিকিৎসকের সাহায্য বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছে।
ছ. কোনো প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কি না।
হাঁপানির জরুরি অবস্থা
১. শ্বাসকষ্টের সাথে বুকে ব্যথা। ঠোঁট বা জিভ নীল বর্ণ (সায়ানোসিস) এবং নিম্নচাপ।
২. শ্বাসকষ্টের সাথে জ্বর।
৩. শ্বাসকষ্টের সাথে কাশি এবং কাশির সাথে রক্ত।
৪. ৪০ বছরের পর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে।
৫. সর্দি হলে তা সারতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগে।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাসের হার প্রতি মিনিটে ৩০ বা বেশি।
৭. নাড়ির স্পন্দন প্রতি মিনিটে ১১০ বা বেশি। এসব লক্ষণ থাকলে জরুরি চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
মনে রাখতে হবে, হাঁপানি চেনার সহজ উপায় হচ্ছে, বুকে সাঁইসাঁই শব্দ (হুইজিং) আছে কিনা। হাঁপানি রোগীর বুকজুড়ে সাঁইসাঁই শব্দ পাওয়া যায়। সাথে শ্বাসকষ্ট এবং কাশি থাকলে নিশ্চিত হওয়া যায় রোগীর হাঁপানি হয়েছে। হাঁপানি রোগীরা অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় হোমিওপ্যাথিতে ভালো ফল পায়। একজন হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
চাঁদপুর
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com