প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
শীত এলেই ত্বকের রুক্ষতা বেড়ে যায়, যার কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেরই আবার শীত এলেই পায়ের গোড়ালি, তালু ও চামড়া ফেটে যায়। এ সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন, তারা জেনে নিন কিছু সতর্কতা। কারণ আমাদের নিজেদের অবহেলার জন্যই শীতের এ সময় শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তাই শীতের শুরু থেকেই পায়ের জন্য চাই বাড়তি পরিচর্যা
* শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক বেশি শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও বেশি শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত যতেœর মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।
* পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের বড় শত্রু। তাই বাইরে থেকে ফেরার পর পা ধুতে দেরি করা যাবে না। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় পায়ে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগান। দিনের বেলা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে ধুলাবালি আটকানোর আশঙ্কা বেশি।
* গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।
* প্রতি সপ্তাহে একদিন পায়ের বিশেষ যতœ নিন। রাতে শোয়ার আগে উষ্ণ গরম পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পা ডোবানোর আগে পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। গরম পানির স্পর্শে গোড়ালির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষুণ। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে। পা ঘষতে কোনো ধাতব বস্তু ব্যবহার করবেন না।
* পায়ের যে কোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অন্যদিকে ঠা-া পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার বা গ্লিসারিন দিন।
* নিয়মিত ভিটামিন সিযুক্ত ফলমূল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এতে পাসহ শরীরের ত্বক সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে।
* অন্যদিকে ব্যবহৃত জুতার তলা শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এজন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক ও নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। যারা নিয়মিত জুতা পরেন, তাদের অবশ্যই প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করতে হবে। ভেজা পা ভালো করে মুছে জুতা বা মোজা পরুন।
* পায়ের ঘাম ও ধুলো-ময়লা জমে অনেকের আবার পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ করে। আবার অনেকেরই পা ফেটে মাঝে-মধ্যে রক্ত বের হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা প্রকট হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা = হাত-পা ফাটা ও মেচ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি।অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ সকল রোগের কোনো চিকিৎসা নাই,তাই আজই আপনি একজন ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের চিকিৎসা নিন। রোগ মুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ।
==========================================
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01670908547
ইমু 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall