হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে হয়। তবে কখনও কখনও বাঁ অথবা ডানপাশেও হতে পারে। এ ব্যথা বুকের ওপর দিকে গলার কাছে এবং বাঁ হাত দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হৃৎপিন্ডের রক্তনালির ব্লকজনিত ব্যথা আর কোথায় হতে পারে?
হৃৎপিন্ডের রক্তনালির ব্লকজনিত ব্যথা ওপরের পেটে হতে পারে, যা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল হতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের ব্যথা শুধু গলার ওপর চাপ চাপ ধরনের হতে পারে। মনে হয়, গলায় কিছু আটকে আছে এবং নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এছাড়া হৃৎপিন্ডের ব্লকজনিত ব্যথা পিঠের পেছনে হতে পারে, ডান হাত বা বাঁ হাতেও হতে পারে।
হৃৎপিন্ডের রক্তনালির ব্লকজনিত ব্যথা হলে কী সমস্যা হতে পারে?
হৃৎপিন্ডের ব্লকজনিত ব্যথা হলে তা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল হতে পারে। পরিণামে সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় ওপরের পেটে ব্যথা হলে রোগী নিজে অথবা জুনিয়র ডাক্তাররা তা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করে অ্যান্টাসিড বা গ্যাস্ট্রিকের অন্য ওষুধ দিয়ে রোগীকে আশ্বস্ত করতে পারেন, যা রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
পেট ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের জন্য, না রক্তনালির ব্লকের জন্য- তা কীভাবে বোঝা যায়?
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত অনেক দিন ধরে মাঝে মাঝে হয়। কিন্তু হার্টের রক্তনালির ব্লকের কারণে হার্ট অ্যাটাক হলে ওপরের পেটের ব্যথা প্রথমবারের জন্য বা নতুন ধরনের ব্যথা অনুভূত হলে এবং এর সঙ্গে যদি প্রচুর ঘাম হয় বা বমি বমি ভাব হয় তবে তা হার্ট অ্যাটাকের জন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হার্ট অ্যাটাকের ফলে পেট ব্যথা হলে সে ক্ষেত্রে কী করা উচিত?
হঠাৎ করে পেট ব্যথার সঙ্গে প্রচুর ঘাম হলে বা বমি হলে এটি হৃৎপিন্ডের ব্লকজনিত কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসিজি বা রক্ত পরীক্ষা, যেমন- কার্ডিয়াক, ট্রপোনিন আই পরীক্ষাটি করিয়ে নেয়া উচিত।
হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত বুকে ব্যথার বৈশিষ্ট্য কী?
হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত বুকে ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে হয়। পরিশ্রম করলে বাড়ে এবং বিশ্রাম নিলে কমে। নাইট্রেটজাতীয় ওষুধ জিহ্বার নিচে দিলে বা জিহ্বার নিচে স্প্রে করলে কমে।
বুকের ব্যথা বাঁ হাতের ভেতরের দিক দিয়ে নিচের দিকে নামে, বুকে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
বুকে ব্যথা হলে কী করণীয়?
খেয়াল রাখতে হবে, পরিশ্রমের সময় বুকে ব্যথা হয় কিনা? যদি হয় হলে তা হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত কারণে হতে পারে। তাই অতিসত্বর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইটিটি এবং অন্য পরীক্ষা, যেমন- করোনারি এনজিওগ্রাম ও প্রয়োজনে সিটি এনজিওগ্রাম বা ইনভেসিভ এনজিওগ্রাম করতে হবে। মনে রাখতে হবে, হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত কারণে বুকে ব্যথা হলে কিন্তু ইসিজি স্বাভাবিক থাকতে পারে।
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall