হার্টে রিং বসানো গোপন ব্যবসার ফাঁস! (ভিডিওসহ)

হার্টে রিং বসানো গোপন ব্যবসার ফাঁস! (ভিডিওসহ)

নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে হার্টে রিং বাণিজ্য। আর্থিক অবস্থা ও হাসপাতাল বুঝে হৃদরোগে আক্রান্তদের রিং-এর মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। অসহায় রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ এই রিং-এর মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি কোন উদ্যোগ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত বা যাদের হার্টে বস্নক হয়। তারা অনেকেই হার্টে রিং (স্টেন্ট) বসিয়ে থাকেন।

রিং বসাতে গিয়ে রোগীরা সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। কোন রিং ভালো, কোনটার কত টাকা দাম এনিয়ে প্রথমে বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর অনেকেই সরকারি হাসপাতালের নানাভাবে অব্যবস্থাপনার কথা বলে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। সেখানে রিংয়ের ধরনসহ নানা কথা বলে মূল্য ও অপারেশন চার্জ নেয়া হয়। কিন্তু কোন রিংটি আসলে রোগীর শরীরে স্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। আবার অনেকেই অপারেশনের টেবিলে রোগী রেখে রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করে স্বজনদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করছে। দিনের পর দিন এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলেও রোগীদের স্বজনদের কিছু করার থাকে না। রোগীর স্বজনরা বসানোর অর্থ জোগাড়ে জমি, গরু, স্বর্ণ বিক্রি বা ধারকর্জ করে।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেন, হার্টে ব্লক হলে রিং বসাতে চায়। এই সমস্ত রিংয়ের বিভিন্ন সাইজ রয়েছে। প্রতিটি রিংয়ের দাম ৭০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আছে। ভারত, আমেরিকা, চীন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রিং তৈরি করা হয়। সরকারি হাসপাতাল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রিং-এর এক ধরনের মূল্য নেয়া হয়। এটা সবাইর জন্য একই রকম। আর অপারেশন ও ওষুধ খরচ আলাদা নেয়া হয়। অপর দিকে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো তাদের খুশি মতো রিং বসানো অপারেশনের খরচ নেয়। তবে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক সময় বেশি দাম নেয়।

সূত্রঃ investigation 360 degree, যমুনা টিভি।

হার্টের রিং বাণিজ্য নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টটি দেখুন-

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *