হার্ট মানবদেহের অপরিহার্য একটি অঙ্গ। এর কাজ হচ্ছে রক্তকে পাম্প করে দেহের সেল ও টিস্যুতে পৌঁছে দেয়া। আপনি জানেন কি- যখন হার্ট আপনার শরীরে না থাকে তখনো আপনার হৃদস্পন্দন চলতে পারে। জেনে নিন হার্ট সম্পর্কে মজার সাতটি তথ্য।
০১. এক বছরে আপনার হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট প্রায় ১ লাখ বার। যুবক বয়সীদের হৃদসম্পন্দন মিনিটে ৭০ (বিশ্রামের সময়) থেকে ২০০ (ভারী ব্যায়ামের সময়) পর্যন্ত হতে পারে। ৭০ বছরে আপনার হার্টবিট হবে দুইশ পঞ্চাশ কোটিরও বেশি বার।
০২. আপনার হার্ট গড়ে প্রতি মিনিটে ১.৩ গ্যালন (৩.৭৯ লিটার) রক্ত পাম্প করে। একদিনে এর পরিমান প্রায় ২০০ গ্যালন।
০৩. গর্ভধারণের তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চার হৃদস্পন্দন শুরু হয়। চতুর্থ সপ্তাহে প্রতি মিনিটে ১০৫ থেকে ১২০ বার হৃদস্পন্দন হয়।
০৪. যুগলদের হার্টবিটের সংখ্যা প্রায় একই। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। যুগলদের পরস্পরকে আলাদা রেখে পরীক্ষা চালানো হয়। এসময় তারা পরস্পর কথাও বলেননি। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, যুগলদের হার্টবিট আশ্চর্যজনকভাবে একই দেখা গেছে। এমনকি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সংখ্যায়ও মিল পাওয়া গেছে।
০৫. অাপনার হার্ট দেহ থেকে আলাদা করে ফেললেও সেটা স্পন্দিত হবে। কারণ এটা অন্যান্য অঙ্গের মতো ব্রেইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত এর পর্যাপ্ত শক্তি ও অক্সিজেন থাকবে, ততক্ষণ এটা স্পন্দিত হতে থাকবে।
০৬. রক্তের গ্রুপের সাথে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকেরা দেখেছেন, রক্তের গ্রুপের সাথে হৃদরোগের সম্পর্ক থাকতে পারে। সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবি গ্রুপের মানুষ। তারপর যথাক্রমে ‘বি’ ও ‘এ’ গ্রুপ রক্তধারীরা। অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিতে রয়েছেন ‘ও’ গ্রুপের রক্তধারীরা। এর কারণ অবশ্য পরিষ্কার নয়।
০৭. ধীরে রক্তপ্রবাহ হৃদরোগের কারণ হতে পারে। কারণ ধীরে রক্ত প্রবাহের ফলে রক্তের সেলগুলো কাছকাছি চলে আসে এবং আস্তে আস্তে ব্লক তৈরি হয়।