রোগ না হলেও, এটি বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা।
চিকিৎসা শাস্ত্রে হেঁচকি ‘সিঙ্ক্রোনাস ডায়াফ্র্যাগমাটিক ফ্লাটার বা সিংগাল্টাস’ নামে পরিচিত।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে হেঁচকি ওঠার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানানো হয়।
কারণ
সাধারণত অতিরিক্ত ভরা পেটে হেঁচকি ওঠার প্রবনতা বেশি থাকে। অতিরিক্ত পেট ভরার কারণগুলো হচ্ছে:
১। অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে।
২। বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল পান করলে।
৩। প্রয়োজনের বেশি শ্বাস নিলে।
৪। ধূমপানের কারণে।
৫। হঠাৎ পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে, যেমনঃ গরম পানীয় পান করার পরপরই ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে এমনটা হতে পারে।
৬। মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারণে।
কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করলেই বিরক্তিকর হেঁচকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
১। বড় করে একটি শ্বাস নিয়ে যতক্ষণ সম্ভব শ্বাসটি চেপে ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে নাক চেপে ধরতে ভুলবেন না।
২। একটি কাগজের ব্যাগে মুখ ঢুকিয়ে শ্বাস নিতে হবে। তবে কাগজের ব্যাগ দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে ফেললে চলবে না।
৩। মুখের উপরিভাগ ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। এক্ষেত্রে খুব সাবধানে একটি তুলা দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। সম্ভব হলে গলার পিছনে মালিশ করতে পারেন।
৪। হেঁচকি বন্ধে এক চামচ চিনি খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৫। কাশি, ঢেকুর বা হাঁচি যে কোন একটি দেওয়া গেলে হেঁচকি ওঠা কমে যাবে। ধারণা করা হয় এতে বুক ও পেটের অংশ ভাগ করার মাঝে যে পর্দা থাকে তা সংকুচিত হয়ে হেঁচকি ওঠা রোধ করতে সাহায্য করে।
৬। কিছু গেলার সময় (বা ঢোক গেলার সময় হতে পারে) নাকে হালকা করে চাপ দিতে হবে।
৭। বুকে মৃদু চাপ দিলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া বুকের কাছাকাছি হাঁটু এনে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করলে উপকারও পাওয়া যাবে।
৮। হেঁচকি ওঠা রোধ করতে পাতলা করে কাটা এক টুকরা লেবু জিহ্বার উপর নিয়ে ক্যান্ডির মতো চুষে খেলে কাজে দেবে।
৯। অনেক সময় কোমল পানীয় পান করে ঢেকুর তুললে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। তবে, সোডা-পানি পান থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে করে হেঁচকি ওঠার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
যদি কোনওভাবেই হেঁচকি ওঠা বন্ধ না হয় এবং দীর্ঘসময় স্থায়ী হয় তাহলে হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall