হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হোন

হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। যে ভাইরাসের মাধ্যমে এ রোগ হয়ে থাকে, সেটির নাম হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস।

লক্ষণ : হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লিভারে প্রদাহ হয়। প্রথম দিকে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দিতে নাও পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সামান্য জ্বর হয়। এরপর খাওয়ায় অরুচি, বমি বমি ভাব, বমি ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। একই সঙ্গে প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়; চোখও। শরীরের ত্বকও হলুদ হয়ে যেতে পারে। পেটের ওপরের অংশের ডানদিকে ব্যথা হয়। লিভার বড় হয়ে যায়। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ১ থেকে ৬ মাস পর হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। তবে কয়েক বছর পরেও লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। লিভারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থেকে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

যেভাবে ছড়ায় : আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত ও দেহরসে (যেমনÑ লালা, বীর্য, জরায়ু থেকে নিঃসারিত রস) হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস থাকে। রোগীর রক্ত ও দেহরসের মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস ছড়ায়। সিরিঞ্জ দিয়ে শিরায় মাদক গ্রহণের সময়, ইনজেকশনের সময় জীবাণুমুক্ত সিরিঞ্জ-সুই ব্যবহার না করলে, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা দূষিত রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে, অনিরাপদ যৌনমিলনের মাধ্যমে, একই ব্লেড বা রেজার দিয়ে সেলুনে শেভ করার মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। মায়ের হেপাটাইসি-বি থাকলে জন্মের সময় নবজাতক সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির জন্ডিস হওয়ার একমাস আগে থেকে শুরু করে যতদিন পর্যন্ত তার রক্তে ‘এইচবিএসএজি’ উপস্থিত থাকে, ততদিন পর্যন্ত রক্ত বা দেহরসের মাধ্যমে অন্যের দেহে হেপাটাইটিস-বি ছড়াতে পারে।

যাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি : যে কারো হেপাটাইটিস-বি হতে পারে। তবে ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, হেপাটাইসি-বি ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের সন্তান এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। স্বাস্থ্যকর্মীরাও এ রোগ থেকে ঝুঁকিমুক্ত নন।

চিকিৎসা :  এ সমস্যার জন্য একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে অন্যথায় উপকার পাওয়া যাবে না।

জটিলতা : আপাতত সুস্থ হয়ে গেলেও অনেক সময় হেপাটাইসি-বি ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেরই লিভারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হয়। ফলে লিভার সিরোসিস হয়ে লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি লিভার ক্যানসার হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। ছয় বছর বয়সের কম বয়সী শিশুরা হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এসব জটিলতার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এ ছাড়া আক্রান্ত অনেকেই রোগের কোনো লক্ষণ ছাড়াই ‘দীর্ঘমেয়াদি বাহক বা ক্যারিয়ার’ হিসেবে রক্ত বা দেহরসে ভাইরাস বহন করে দীর্ঘদিন অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *