হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা নামের পূর্বে (ডা.)লিখতে পারবেন জাতীয় সংসদে আইন গৃহীত।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩।


২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উথাপিত হয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩।  বা. জা. স. বিল নং ৪৮/২০২৩। Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 রহিতক্রমে সময়ােপযােগী করিয়া নতুনভাবে প্রণয়নকল্পে আনীত বিল। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উথাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বিলটি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্থাপিত হবার পর বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বিলটি প্রেরণ করলে গত ২৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও সংযোজন করেছে তা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন প্রদান করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, তা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আলোচনা সহ প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও সংযোজন সহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পাসের জন্য উত্থাপিত হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে পাস হয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে প্রেরন করবে, বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্মতি (স্বাক্ষর) করলে সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন হয়ে আইন হিসাবে সমগ্র দেশে কার্যকর হবে। সূত্র জানায় বর্তমান চলমান সংসদ অধিবেশনে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস ও কার্যকর হবে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড (Bangladesh Homoeopathic Board) কে প্রতিস্থাপিত করে বোর্ডের পরিবর্তে বোর্ডের জায়গাসহ অবকাঠামো ও জনবল নিয়ে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার জন্য শুধুমাত্র “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (Bangladesh Homoeopathic Medical Education Council)” হবে। বর্হিবিশ্বে ভারতসহ অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও স্বাধীনতার ৫ দশক পর বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিকদের চিকিৎসকদের পেশার নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বোর্ডের পরিবর্তে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল হচ্ছে এবং অনেক বিষয় আইনের আওতায় আসছে। আইন পাসের পর অনেক বিষয় আইনের আওতায় বেশকিছু ধারা-উপধারা সমূহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা উল্লেখ করে প্রবিধান/বিধিমালা প্রণয়ন করে তা সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে ও সময়ে সময়ে আইনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোকে পরিপত্র জারি করবে।
এখনও আইনের বেশকিছু কাজ বাঁকী আছে। যেহেতু যেভাবেই হোক দেশের হোমিওপ্যাথির জন্য কাজ হচ্ছে, তবে আইনটি রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাবার পর প্রজ্ঞাপন গেজেট হবার পর আইনের সর্বশেষ বিচার-বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল হতে ২০২৩ সাল প্রায় ১০ বছরে আইন সংসদে উত্থাপিত করতে তেমন চেষ্টা করেননি। বরং জনমত ও কঠোর চাপে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে উত্থাপনে ও পাসে কাজ করছেন। তা গভমেন্ট সার্ভিস রুলসে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তথা জনগণের সেবক হিসেবে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ভাল কাজের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদ সচিবালয় সহ সংশ্লিষ্টদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে তাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। 
দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা দুর্লভ পরিপত্র/বিধিমালা/প্রজ্ঞাপন/আইন/নথি/ডকুমেন্টস যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডেও সংগ্রহে বা জানা নেই, সেসকল নথি ও ডকুমেন্টস ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে এসমন্ত রাষ্ট্রীয় দপ্তর গুলোতে সরকারি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময় সরকারি রেজিস্ট্রি ডাকে ও ই-মেইলে প্রেরন করা হয়েছিল। পরিবারে বংশ পরস্পরায় সরকারি হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। পরিবারে বর্তমানে ৫ জন হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। এ দায়বদ্ধতা ও হোমিওপ্যাথির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থেকে হোমিওপ্যাথির জন্য কাজ করে যাওয়া হয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষার সরকারি ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও কখনও হোমিওপ্যাথির জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যতেও কোন পদ-পদবী বা ক্ষমতার মোহ গ্রহণ করা নয় বা কোন আগ্রহ কখনও নেই বরং দেশের হোমিওপ্যাথদের জন্য কিছু করা তথা হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিদের বেশকিছু বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক সংগঠন বিদেশি দূতাবাসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে স্মারকলিপি প্রদান করে ও সাক্ষাতেরও আগ্রহ জানায়। Freedom in the power of the pen. অসি অপেক্ষা মসি অধিকতর শক্তিমান। কখনও কোন পদ-পদবী বা ক্ষমতার মোহ গ্রহণ না করে ও পর্দার অন্তরালে থেকেও বা নিরবে নিভৃতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষের শীর্ষ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রেরন এবং ই-মেইলে ও সরকারি ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে দুর্লভ নথি/ডকুমেন্টস পাঠিয়েও কাজ করা যায় (সরকারি ডাক রেজিস্ট্রি রশিদ ও বিভিন্ন নথি সমূহ সংরক্ষিত)। তা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথদের প্রয়োজনে ও সরকারি হোমিওপ্যাথিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তা চলমান থাকবে। শেষ বেলায়েও হোমিওপ্যাথির জন্য কাজ হচ্ছে এটাই ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে চরম স্বার্থকতা। ইতিহাস অবশ্যই স্মরণ করবে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশের ৫ দশকে বিভিন্নভাবে শোষিত ও বঞ্চিত সম্মানিত ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকেও জাতি এবং হোমিওপ্যাথরা স্মরণ করবে। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন এবং যথাযথ মর্যাদার সহিত অধিষ্ঠিত হোক। জয় হোক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির। জয় বাংলা।(মতামত)====================================

লেখক পরিচিতি :

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)

ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক)বাংলাদেশ।২৭ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।====================================


অনুলিপি : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩ এর বাংলাদেশ গেজেট কপি।সরকারি গেজেট এর লিংক (পিডিএফ ২০ পাতা) : https://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/50651_41703.pdf