জ্বরের যাদুকরী চিকিৎসা হোমিওপ্যাখিতে

জ্বর না কমার কারণে ঔষধ নির্বাচন ভুল হয়েছে মনে করে অযথা ঘনঘন ঔষধ পরিবর্তন করবেন না। হ্যাঁ, রোগ লক্ষণ যদি পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে নতুন লক্ষণ যেই ঔষধের সাথে মিলে সেটি খাওয়ানো শুরু করুন। যেমন প্রচণ্ড তাপ, অস্থিরতা, মৃত্যুভয় ইত্যাদি লক্ষণ নিয়ে জ্বর শুরু হওয়ায় একোনাইট খাওয়ালেন; দুদিন পর দেখা গেলো রোগী রোগীর অস্থিরতা, মৃত্যুভয় ইত্যাদি লক্ষণে চলে গেছে, সে বেহুঁশের মতো পড়ে থাকে, এখন একোনাইট বন্ধ করে জেলসিমিয়াম খাওয়ানো শুরু করা উচিত। স্বাভাবিক অন্যান্য খাবারের সাথে চিনি লেবু দিয়ে শরবত করে খাওয়াবেন ঘনঘন ; এতে শরীরে দুর্বলতা আসতে পারবে না। জ্বরের রোগী যদি অদ্ভুত কিছু খেতে চায় এবং সেটি যদি তার জন্য ক্ষতিকর না হয়, তবে তাকে খেতে দেওয়া উচিত। যেমন জ্বরের সাথে যদি কারো গ্যাস্ট্রিক আলসার থাকে, আর সে যদি লেবু খেতে চায়  তবে, দুয়েক বার খেতে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু ইহার বেশী ঠিক হবে না।

Aconitum napellus :- একোনাইট হলো হোমিওপ্যাথিতে জ্বরের এক নাম্বার ঔষধ। যেকোন রোগই হউক (জ্বর, কাশি, ডায়েরিয়া, আমাশয়, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি), যদি শুরু থেকেই মারাত্মক রূপে দেখা দেয়, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটকে তুলনা করা যায় ঝড়, তুফান, টর্নেডোর সাথে, প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। জ্বরও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট সেবন করুন। যেসব জ্বর আসতে আসতে শুরু হয় বা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, সেসব রোগে একোনাইট খেতে পারেন। তাতে জ্বর পুরোপুরি না সারলেও অন্তত নব্বই ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। পরবর্তীতে লক্ষণ অনুযায়ী অন্য ঔষধ প্রয়োগ করতে পারেন। একোনাইটের জ্বরের লক্ষণ হলো প্রথম থেকেই ভীষণ উত্তাপ নিয়ে জ্বর শুরু হয়, রোগী অস্থির হয়ে পড়ে, জ্বরের উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। যেকোন জ্বরের শুরু থেকে একোনাইট খাওয়াতে থাকলে জ্বর একশভাগ যদি নাও সারে, অন্তত নিয়নত্রণে চলে আসবে এবং জ্বরের গতি খারাপের দিকে যেতে পারবে না। হ্যাঁ, জ্বরের উত্তাপ কমে আসলে অর্থাৎ জ্বরের তীব্রতা হ্রাস পেলে একোনাইট সেবন বন্ধ করে দিবেন। একোনাইট প্রয়োগের পর যদি জ্বর দুর্বল হয়ে যায় কিন্তু পুরোপুরি না সারে, সেক্ষেত্রে দুয়েক মাত্রা সালফার (Sulphur) ঔষধটি খাওয়াতে পারেন।

Bryonia alba : ব্রায়োনিয়ার জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট, জিহ্বা, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে এবং রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে। রোগী অন্ধকার এবং নড়াচড়া অপছন্দ করে ; কারণে এতে তার কষ্ট বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে এবং সে একলা থাকতে পছন্দ করে (কারণ মানুষ কাছে থাকলেই তাকে নড়াচড়া করতে হতে পারে, যাতে তার কষ্ট বেড়ে যাবে)। প্রলাপ  বকার সময় তারা সারাদিনের পেশাগত কাজের কথা বলতে থাকে।

Rhus toxicodendron : রাস টক্সের জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা। রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে, এক পজিশনে বেশীক্ষণ সিহর থাকতে পারে না। রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে, তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালিতেছে। শরীরে প্রচুর ব্যথা থাকে এবং শরীর  মোচড়াতে ভালো লাগে। এই কারণে শুয়ে থাকলেও সে  নড়াচড়া করে এবং এপাশ ওপাশ করতে থাকে।  বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া বা ভিজা বাতাসের  সময়কার যেকোন জ্বরে রাসটক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস টক্সের জ্বর সাধারণ রাতে বেলা বেড়ে  যায়। রাস  টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে  না। কেননা ঠান্ডা পানিতে রাস টক্সের একশান নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য কুসুম কুসুম গরম পানি! ব্যবহার করতে হবে।

Belladonna : তিনটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে বেলেডোনা ঔষধটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, যথা- উত্তাপ, লাল রঙ এবং জ্বালা-পোড়া ভাব। জ্বরে যদি উত্তাপ বেশী থাকে, জ্বরে যদি মুখমন্ডল বা চোখ লাল হয়ে যায়, জ্বরের সাথে যদি প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকে, কিংবা জ্বরের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে, তবে বেলেডোনা তাকে উদ্ধার করবে নিশ্চিত। বেলেডোনার জ্বর সাধারণত হঠাৎ মারাত্মক আকারে দেখা দেয় এবং জ্বরের তীব্রতায় খুবই দ্রুত রোগী প্রলাপ বকতে শুরু করে। রোগী ভয়ঙ্কর সব জিনিস দেখে, ভয়ে পালাতে চেষ্টা করে এবং অনেক সময় মারমুখী হয়ে উঠে।

Gelsemium sempervirens : জেলসিমিয়ামের জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে ঘুমঘুম ভাব থাকে বেশী, রোগী অচেতন, অজ্ঞান, বেহুশের মতো পড়ে থাকে। দেখা যাবে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর অথচ রোগী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। জেলসিমিয়ামের জ্বরে মাথা ঘুড়ানি থাকে, শরীর ভারভার লাগে, শরীর ব্যথা এবং দুর্বলতা থাকে। মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে রোগী নড়াচড়া করতে পারেনা এবং একটু নড়াচড়া করতে গেলে শরীর কাঁপতে থাকে। জ্বরের সময় পিপাসা থাকে না।
Baptisia tinctoria : টাইফয়েড জ্বরের ঔষধ হিসেবে বেপ্টিশিয়ার খুব সুনাম আছে। মাতালের মতো হাবভাব, গোলাটে চাহনি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা এবং সারা শরীরে টনটনে ব্যথা এই ঔষধের অন্যতম লক্ষণ। রোগীর শরীরে ব্যথা এত বেশী থাকে যে, খুব নরম বিছানাও তার কাছে শক্ত মনে হয়। রোগীর শরীরে দুর্বলতা, অবসন্নতা থাকে অকল্পনীয় রকমের বেশী। চোখের পাতা পর্যন্ত ভারী ভারী লাগে। চেতনার খুবই অভাব। যেমন ডাক্তার কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেওয়ার পুর্বেই রোগী ঘুমিয়ে পড়ে। কোন ব্যাপারেই রোগী তার মনোযোগ ঠিক করতে পারে না। রোগী মনে করে তার শরীর দুইটা; আবার মনে করে তার শরীর টুকরা টুকরা হয়ে বিছানায় ছড়িয়ে আছে এবং সে টুকরাগুলো একত্র করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে।

Arsenicum albumশরীরের নির্দিষ্ট কোন স্থানের রোগের সাথে যদি জ্বর আসে, সেখানে ঘা, ক্ষত, পচনের সৃষ্টি হয়, রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা এবং মৃতুভয় থাকে, সেক্ষেত্রে আর্সেনিক প্রয়োগে যাদুর মতো ফল পাওয়া যাবে। রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা,  কিন্তু ভেতরে থাকে জ্বালা পোড়া। গরম পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক। বাসি, পচাঁ, বিষাক্ত খাবার খেয়ে জ্বর হলে অথবা অন্য যেকোন সমস্যা হলো আর্সেনিক খেতে ভুল করবেন না।

Veratrum viride: ভিরেট্রাম ভিরিডি-র জ্বরের লক্ষণ অনেকটা একোনাইটের মতো মারাত্মক। তবে এতে বুক  ড়ফড়ানি থাকে বেশী এবং জিহ্বার মাঝখানে টকটকে লাল একটি দাগ থাকে।

Pulsatilla pratensis : পালসেটিলার জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না। অন্যান্য লক্ষণ হলো শীত শীত ভাব বেশী থাকে, ঘুমঘুম  ভাব থাকে এবং বিকাল দুটা-তিনটার দিকে জ্বর বৃদ্ধি পায়। শরীরের এক অংশ গরম এবং অন্য অংশ ঠান্ডা থাকে। গরম, আলো-বাতাসহীন, বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে। হাতে জ্বালাপোড়া থাকে, ফলে সেটি বিছানার ঠান্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করে। ঠান্ডা বাতাস, ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা পানি পছন্দ করে। আবেগ প্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এমন লোকদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য।

Antimonium tartaricum : এন্টিম টার্টের জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বরের সাথে পেটের কোন না কোন সমস্যা থাকবেই। ইহার জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো জিহ্বায় সাদা রঙের মোটা স্তর পড়বে এবং বমি বমি ভাব থাকবে। তাছাড়া দুর্বলতা, শরীরের ভেতরে কাঁপুনি, ঘুমঘুম ভাব, বুকের ভেতরে প্রচুর কফ ইত্যাদি থাকতে পারে।

Ferrum phosphoricumফেরাম ফস ঔষধটি যেকোন জ্বরের প্রথম দিকে ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সাধারণত যারা ভীতু, সেনিসিটিভ এবং রক্তশুণ্যতায় ভোগে তাদের জ্বরে ফেরাম ফস ভাল কাজ করে।

Mercurius solubilisমার্ক সল ঔষধটির জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না। কারণ ঘাম দিয়ে জ্বর নেমে যাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তুজ্বর নামে না। তাছাড়া ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে। রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। জ্বর রাতের বেলায় বেড়ে যায়। মুখের লালা বৃদ্ধি পায়। ঘামে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যেকোন রোগে মার্ক সল উপকারী। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে যেসব জ্বর হয়, তাতে মার্ক সলের কথা প্রথমে চিন্তা করতে হবে।

Natrum muriaticum : সর্দি জ্বর এবং যেসব জ্বর একবার পুরো সেরে যায় এবং আবার দেখা দেয় (সবিরাম জ্বর/ম্যালেরিয়া) তাতে নেট্রাম মিউর কাযর্কর। নেট্রাম মিউরের জ্বরে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকে। ঠোঁটের মধ্যে ফোস্কা পড়ে। সাধারণত সকাল ৯টা থেকে ০১টার দিকে জ্বর আসে এবং একদিন পরপর আসে।

Phosphorus : ফসফরাসের জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো রোগী বরফের মতো কড়া ঠান্ডা পানি খেতে চায়, হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া করে এবং একা থাকতে ভয় পায়। তাছাড়া মেরুদন্ড থেকে মনে হয় তাপ বেরুচ্ছে, বুক ধড়ফড়ানি, উৎকন্ঠা থাকে। জ্বর সন্ধ্যার দিকে বৃদ্ধি পায়। সন্ধ্যার দিকে রোগী খুব অস্থির থাকে।

Phosphoricum acidum : ফসফরিক এসিডের জ্বরের রোগী হয় নির্বোধের মতো, তার চারপাশে যা কিছু ঘটছে সেদিকে তার কোন খেয়াল থাকেনা। রোগী কথা বলতে চায় না। জ্বরের সাথে ডায়েরিয়া থাকে এবং কখনও কখনও মারাত্মক ডায়েরিয়া থাকে। অত্যধিক গ্যাস জমে পেট ফেঁপে থাকে। সাধারণত অত্যধিক যৌনকর্ম করে দুর্বল হয়ে পড়া লোকদের মধ্যে এই জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়।

Sulphur : সালফারের জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো রাতের বেলা রোগীর পায়ে জ্বালাপোড়া থাকে। ফলে ঘুমের সময় সে তার পা দুটি লেপ-কাঁথার বাইরে বের করে রাখে। তাছাড়া যথেষ্ট পিপাসা থাকে এবং জ্বর সকাল ১১টার দিকে বৃদ্ধি পায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় গরম হয়ে উঠে।

China  officinalis : চায়নার জ্বর হলো সবিরাম জ্বর যাতে একবার জ্বর ওঠে এবং তারপর জ্বর পুরোপুরি সেরে যায় এবং তারপর পুণরায় জ্বর ওঠে (ম্যালেরিয়ার  মতো)। জ্বর আসে প্রতিদিন বা একদিন পরপর তবে  এক ঘণ্টা আগে। যেমন গতকাল যদি সকাল দশটায় জ্বর এসে থাকে, তবে আজ আসবে সকাল নয়টায় এবং আগামীকাল আসবে সকাল আটটায়। জ্বরের তিনটি অধ্যায় থাকে- প্রবল শীত, জ্বর এবং প্রচুর ঘাম। চায়নার  ম্যালেরিয়া জ্বর কখনও রাতে আসে না।

Eupatorium  perfoliatum : ইউপেটোরিয়াম পারফো প্রধানত ডেঙ্গু জ্বরে ব্যবহৃত হয়। কেননা এতে ডেঙ্গু জ্বরের মতো প্রচণ্ড শরীর ব্যথা আছে। শরীরে এমন প্রচণ্ড ব্যথা থাকে যেন মনে হয় কেউ শরীরের সমস্ত হাড় পিটিয়ে গুড়োঁ করে দিয়েছে। সাধারণত পিঠে, মাথায়, বুকে, হাত-পায়ে এবং কব্জিতে বেশী ব্যথা হয়। পানি বা খাবার যাই পেটে যায় সাথে সাথে বমি হয়ে যায় আইসক্রীম বা ঠান্ডা পানি খেতে ইচ্ছে হয়। রোগী খুবই অস্থির থাকে, এক মুহূর্ত স্থির হয়ে বসতে পারে  না। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সিজনাল ভাইরাস জ্বরেও যদি প্রচণ্ড শরীর ব্যথা থাকে, তবে ইউপেটোরিয়াম প্রযোজ্য।

Thuja  occidentalis : যে-কোন টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে জ্বর আসলে তাতে থুজা একটি অতুলনীয় ঔষধ। তাছাড়া জ্বরের মধ্যে কেউ যদি ‘উপর পড়ে যাওয়ার’ স্বপ্ন দেখে, তবে সেটি যেই নামের জ্বরই হোক না কেন, থুজা তাকে নিরাময় করে দিবে।

Chininum  sulphuricum : যে-সব জ্বর খুব টাইম মেনে চলে অর্থাৎ ঘড়ির কাটায় কাটায় উঠে এবং নামে, তাতে চিনিনাম সালফ প্রযোজ্য। মাথা ব্যথা মাথার পেছন থেকে কপালের দিকে আসে। ব্ল্যাক ওয়াটার ফিভার বা কালা পানির জ্বর নামে এক ধরণের মারাত্মক ম্যালেরিয়া জ্বরে এটি উপকারী যাতে লাল বা কালো রঙের প্রস্রাব হয়ে থাকে। জ্বর ওঠার পূর্বে কাঁপিয়ে শীত লাগার সময় কোন রক্তনালী ফোলে ওঠা চিনিনাম সালফের একটি প্রধান লক্ষণ।

Sambucus  nigra : জ্বরে স্যাম্বুকাস নাইগ্রার প্রধান লক্ষণ হলো ঘুমের মধ্যে রোগীর শরীর থাকে শুকনা এবং গরম কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভীষণ ঘামতে থাকে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। কাশি বা অন্য কোন রোগেও যদি এই লক্ষণ থাকে, স্যাম্বুকাস প্রয়োগে সেটি নিরাময় হবে।

Indigo : সাধারণত কৃমির উৎপাতের কারণে জ্বর হলে ইন্ডিগো ভালো কাজ করে। যে-কোন কৃমির ঔষধই গর্ভবতীদের খাওয়ানো নিষিদ্ধ, তেমনি এটিও।

Opium : সাধারণত ভয় পাওয়ার কারণে কোন রোগ হলে তাতে ওপিয়াম প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া যায়। একইভাবে ভয় পাওয়ার কারণে জ্বর আসলে তাতে ওপিয়াম প্রয়োগ করতে হবে।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435
ইমো  01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *