এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক পদবী ও রেজিঃ সনদপত্র পাবার নিয়ম।

এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক পদবী ও রেজিঃ সনদপত্র পাবার নিয়ম।

ডাক্তার (ডা.) ও মোহাম্মদ (মো.) শব্দ এর বাংলা বানানের সঠিক এবং সংক্ষিপ্তরুপঃ

সাইনবোর্ড ও ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ এভাবে (ডাঃ) না লিখে অবশ্যই এভাবে (ডা.) লেখা। অনেকে ডাক্তার শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ সম্পর্কে অবগত নন। লক্ষণীয় বিষয় বেশিরভাগ ডাক্তারই এ ভুলটি করে থাকেন। স্কুল-কলেজ গুলিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই ভুল করে।

অামাদের অনেককেই “মোহাম্মদ” এবং “ডাক্তার’ শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ এইভাবে “মোঃ”, “ডাঃ” লিখতে দেখা যায়। লক্ষ্যণীয় যে, বাংলা বর্ণমালায় বিসর্গ (ঃ) একটি পৃথক বর্ণ। এটা কোনো সংক্ষেপ চিহ্ন নয়। আবার বিসর্গ (ঃ) ও কোলন ( : ) কিন্তু এক নয়। বাংলা ব্যাকরণে একবিন্দু (.) কে সংক্ষেপ চিহ্ন হিসেবে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কাজেই শব্দ সংক্ষিপ্ত করতে বিসর্গ (ঃ) কিংবা কোলন ( : ) বসানো হলো ভুল।
বিসর্গ (ঃ) বর্ণ ব্যবহার করলে “মোঃ” শব্দ “মোহ্” রুপে উচ্চারণ হবে ও “ডাঃ” শব্দ “ডাহ্” রূপে উচ্চারিত হবে।

ডাক্তার এর সঠিক সংক্ষিপ্তরূপ ডা.
ও মোহাম্মদ এর সঠিক সংক্ষিপ্তরুপ মো. হবে।

১। এ্যালোপ্যাথি বিভাগঃ

শুধুমাত্র এ্যালোপ্যাথি ও ডেন্টাল কোর্সকৃতদের জন্য আইন “বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন” মোতাবেক “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” প্রদান ও শুধুমাত্র এ্যালোপ্যাথি এবং ডেন্টাল ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অধিনে বি,এম,ডি,সি (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক জার্মানির ডা. স্যামূয়েল হ্যানিম্যান সর্বপ্রথম ১৮১০খ্রিঃ তার কালজয়ী গ্রন্থ “Organon der rationellen Heilkunde নামে ১ম প্রকাশিত গ্রন্থে Western Medicine কে এ্যালোপ্যাথি নাম করণ করেন। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি নামে পরিচিত।
বর্তমানে MBBS (Western Medicine / Allopathy), BDS (Dental) কোর্সকৃতদের “ডা.” পদবী হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করে।

২। হোমিওপ্যাথি বিভাগঃ

বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি কোর্স ও সার্টিফিকেট ও চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান এবং হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস পাসকৃত ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রনের জন্য দেশে আলাদা সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন ও আলাদা সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১৯৮৩ খ্রিঃ ও প্রবিধান-১৯৮৫খ্রিঃ..অনুুযায়ী প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রয়ত্ব “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (বি,এইচ,বি)”।
১৯৭২ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (বিএইচবি) কর্তৃক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ গুলো অধিভুক্ত এবং বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমমান/সমতুল্য/ Equivalent B.Sc (Pass) Degree ডিএইচএমএস (হোম) কোর্স পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রয়ত্ব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রস্তাবিতঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়) ডিএইচএমএস কোর্সের পরীক্ষা গ্রহন ও সার্টিফিকেট প্রদান করে।

DHMS (Homoeopathy) পাসকৃতদের ইন্টার্ণীশিপ সমাপ্ত করার পর চিকিৎসা পেশা গ্রহনকৃতদের “ডা.” পদবী হিসাবে অবিহিত করে ও চিকিৎসা পেশার “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” প্রদান ও নিয়ন্ত্রন করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের জন্য জারীকৃত
[ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরঃ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে (মো. আবদুর রউফ) উপ-সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ]
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “প্রজ্ঞাপন”, নং এস, আর, ও ২০৭-আইন/৯৮, তারিখঃ ২১/০৯/১৯৯৮ খ্রিঃ

প্রজ্ঞাপন
১৯৯৮ এর সংশোধিত গেজেট আইন নম্বর ২০৭ দেখুন।
লিংক – http://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/207-Law-1998.pdf

মোতাবেক DHMS (Homoeopathy) কোর্সকৃতদের “ডা.” পদবী হিসাবে চিকিৎসা পেশার “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” সহ আইনগত অধিকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রয়ত্ব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর “রেজিষ্ট্রার” কর্তৃক প্রদান করে আসছে। BHMS (Homoeopathy) পাসকৃতদের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রদান করে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে পাস হলে হোমিওপ্যাথি নিয়ন্ত্রণ ও “ডা.” হিসাবে DHMS, BHMS কোর্সকৃতদের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদানের জন্য “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (BHMA)” গঠন হবে।

৩। ইউনানী বিভাগঃ

বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এর অধিনে সরকার স্বীকৃত ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ হতে DUMS (Uniani) পাসকৃত ও ইন্টার্নী সমাপ্ত করে আইন মোতাবেক বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড হতে চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেেশন সনদপত্র প্রদান করে। BUMS (Uniani) পাসকৃতদের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রদান করে। বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে পাস হলে ইউনানী চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণ ও DUMS, BUMS কোর্সকৃতদের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদানের জন্য “বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কাউন্সিল (BUAMC)” গঠন হবে।
সাধারণত রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রাপ্তরা পদবীঃ “হেকিম” হিসাবে পরিচিত।
ইউনানী শব্দের অর্থ হলো গ্রিক দেশিয়; হেকিমি (ইউনানি দাওয়াখানা)

পদবীঁঃ হেকিম, হাকিম
[বাংলা একাডেমী’র সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান অনুযায়ী]
ইউনানি চিকিৎসক; তিব্বি কবিরাজ। হেকিমের চিকিৎসা। হেকিম সম্পর্কিত। ইনানানি; ইউনানিতে চিকিৎসা।

৪। আয়ুুর্বেদিক বিভাগঃ

বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এর অধিনে সরকার স্বীকৃত আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হতে DAMS (Ayurvedic) কোর্স পাসকৃত ও ইন্টার্নী সমাপ্ত করে আইন মোতাবেক বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড হতে চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করে। BAMS (Ayurvedic) কোর্সকৃতদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করে। বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে পাস হলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণ ও DAMS, BAMS কোর্সকৃতদের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদানের জন্য “বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কাউন্সির (BUAMC)” গঠন হবে।
সাধারণত রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রাপ্তরা পদবীঃ “কবিরাজ” হিসাবে পরিচিত।
আয়ুর্বেদিক শব্দের অর্থ হলো কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতি বা বেদান্তগত চিকিৎসা শাস্ত্র বা বিদ্যাা।

পদবীঃ কবিরাজ
[বাংলা একাডেমী’র সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান অনুযায়ী]
আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসক; বৈদ্য। কবিরাজি, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে চিকিৎসা; কবিরাজের চিকিৎসা।

★ সরকারী প্রজ্ঞাপন এর গেজেটঃ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃতদের চিকিৎসা পেশার “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” ও “(ডা.)” পদবীঃ

সরকার অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হতে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সে পাস করার পর ইন্টার্নী শেষ করার পর চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র এর জন্য আবেদন করার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর ওয়েব সাইডে (www.homoeopathicboardbd.org) চিকিৎসা পেশার অনুমতির জন্য রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র এর অাবেদন ফরম ও নিয়মকানুন দেওয়া আছে। আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহ নিদিষ্ট পরিমান ফি “রেজিষ্ট্রার” বরাবর ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করে রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র এর জন্য আবেদন করা। ডকুমেন্ট সহ আবেদন পত্রটি নিদিষ্ট সময়ে বোর্ড মিটিংয়ে পাস হবার পর ও রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান এবং তা গ্রহনকারী ডাক্তারকে পূর্বে প্রতি ৩ বৎসর পর পর ছিল, বর্তমানে প্রতি ৫ বৎসর পর পর নবায়নযোগ্য।

বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান” ও “বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান” অনুুযায়ী “ডা.” ও “হোমিওপ্যাথি” শব্দের আভিধানিক অর্থঃ

ডাক্তার (ডা.)
ইউরোপীয় পদ্ধতির চিকিৎসক; চিকিৎসক।
চিকিৎসাকারী, ডাক্তার, বৈদ্য, ভিষক।
Doctor; Physician.

হোমিওপ্যাথি
ডা. স্যামূয়েল হ্যানিম্যান (১৭৫৫-১৮৪৩) প্রবর্তিত রোগ সৃষ্টিকর বস্তুর সূক্ষ্মাংশ প্রয়োগে এরুপ রোগের চিকিৎসা প্রণালী; সদৃশ-বিধান।
Homoeopathy.

উল্লেখ্যঃ Western Medicine (অ্যালোপ্যাথি) ও হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি প্রথম ইউরোপ মহাদেশে চিকিৎসা বিস্তার ও প্রসার এবং চিকিৎসা বিধান/পাঠ্যপুস্তক, প্রযুক্তি/কলাকৌশল প্রভৃতি প্রয়োগ চলতে থাকে। ফলে সেখানকার চিকিৎসকগণ নামের সঙ্গে “ডা.” লিখত ও লিখে আসছে। কালক্রমে তা বিশ্বব্যাপি বিস্তৃতি লাভ করে…]।

ডাক্তারদের পেশা লেখার ক্ষেত্রেঃ

বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, ইউনানী বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা অল্টারনেটিভ সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।
এখনও পেশার সঠিক নিয়ম অনুসরণ হচ্ছেনা। অনেকের জানায় নেই অ্যালোপ্যাথিদের মত হোমিওপ্যাথিদের “ডা.” হিসাবে গন্য করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২১/০৯/১৯৯৮খ্রিঃ প্রজ্ঞাপন এর অংশ “নমূনা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” ছকে শুরুতে নামের অগ্রভাগে ডাঃ………………..লেখা ছক সহ অন্যান্য বিধিবিধান আছে।

প্রজ্ঞাপন
১৯৯৮ এর সংশোধিত গেজেট আইন নম্বর ২০৭ দেখুন।
লিংক – http://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/207-Law-1998.pdf

(বিশ্বব্যাপি ডিএইচএমএস পাসকৃতরা সহ ডাক্তারগণ ডাক্তারী প্যাড, ভিজিটিং কার্ড, সাইন বোর্ডে, নেমপ্লেটে বুঝার সুবিধা ও প্রচলন আছে বিধায় চিকিৎসকগণ নামের অগ্রভাগে “ডা.” লিখে থাকে। তা তাদের অধিকার। কোন সমস্যা নেই)
যেমনঃ
ডা…

চিকিৎসা শিক্ষা/চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান/চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্যসব সরকারী/বেসরকারী ফরমঃ

সাধারণত নাম কলাম লেখার বিষয়ে লেখা থাকে (এসএসসি সনদপত্র অনুুযায়ী/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র অনুুযায়ী/জাতীয় পরিচয়পত্র অনুুযায়ী)।
সেখানে সেইভাবে লিখতে হবে। নামের কলামে নামের অগ্রভাগে “ডা.” লেখার সেখানে প্রয়োজন নেই। (ইন্টার্ণীশিপ সনদপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্রে নামের অগ্রভাগে “ডাঃ” লেখা আছে)।

পেশা কলামে পেশাটি ঠিক ভাবে লেখা দরকার।
পেশা লেখায় বিষয়ে আবেদনকারী যদি “ডা.” হয় বা “ডা.” পরিচয়দান করে, তাহলে বহুল ব্যবহার হয় ডাক্তার/চিকিৎসক কোন পদ্ধতির।

(নামের অগ্রভাগে/সঙ্গে অনেকে “ডা.” পদবী না লিখে পেশার স্থানে পদবী লিখছে। এটা নামের অংশ নয়। কোন সমস্যা নেই)

উদাহরণ সরকারী/বেসরকারী ফরমে যেমনঃ

নামঃ ………… 
(জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাগত এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা ডিএইচএমএস বা চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র অনুুযায়ী) যা চাইবে সে অনুুযায়ী/মোতাবের লেখা দরকার।

পেশাঃ…………

(ক) এজন্য অ্যালোপ্যাথি ও ডেন্টাল গণ ক্ষেত্রেঃ
“পেশাঃ চিকিৎসক”।

(খ) হোমিওপ্যাথিগণ ক্ষেত্রেঃ 
“পেশাঃ চিকিৎসক (হোমিওপ্যাথি)”।

(গ) ইউনানীগণ ক্ষেত্রেঃ
“পেশাঃ চিকিৎসক (ইউনানী)”

(ঘ) আয়ুর্বেদিকগণ ক্ষেত্রেঃ
“পেশাঃ চিকিৎসক (আয়ুর্বেদিক)”

(বিষয়টি সঠিক প্রচার ও প্রসার কম। সরকারী ও বেসরকারী সব দপ্তর সহ এক সময় সকলে জানবে ও বুঝবে। “পেশা” অপশন ও “পদবী” অপশন ভিন্ন বিষয়)

পরিশেষঃ

মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারীকৃত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন উপস্থাপন করার পর কেহ ভুল ব্যাখ্যা দিলে সে হলো শিক্ষিত জ্ঞানপাপী।
প্রজ্ঞাপনটি ডিএইচএমএস কৃতদের জন্য শক্তিশালী সরকারী ডকুমেন্ট/দলিল/আইন।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগ। সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন অনুুযায়ী (মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১৯৮৩, প্রবিধান-১৯৮৫…) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস কোর্স সহ হোমিওপ্যাথি উচ্চ শিক্ষা, কারিকুলাম, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রনের রাষ্ট্রীয় একমাত্র সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রস্তাবিতঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল / বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়) তাদের নিকট প্রেরিত (সরকারী চিঠি/ডকুমেন্ট) রাষ্ট্রীয় প্রকাশিত করার মত সব গুলো ডিএইচএমএস কোর্সের ও বৃহত্তর ডাক্তারদের সুবিধার জন্য ডকুমেন্ট, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন প্রভৃতি জনস্বার্থে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নিজস্ব ওয়েব সাইডে দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোম) পাসকৃতদের “ডা.” পদবী উল্লেখ সহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন সহ ছক অনুুযায়ী নমূনা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র (৭ পাতা)।
প্রজ্ঞাপন
১৯৯৮ এর সংশোধিত গেজেট আইন নম্বর ২০৭ দেখুন।
লিংক – http://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/207-Law-1998.pdf

(মতামত)

লেখক পরিচিতিঃ

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)
এমএসএস (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *