অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনের প্রভাবে যে সব সমস্যা দেখা যায়, তাদের মধ্যে মেদবৃদ্ধি বা ওবেসিটি অন্যতম। তবে নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া ও শরীরচর্চার মাধ্যমে সারা শরীরের মেদ অনেকটা কমিয়ে ফেলা গেলেও মুখের মেদ কিছুতেই কমতে চায় না। আর মুখ ভারি থাকলে চেহারার সৌন্দর্যও অনেক খানি নষ্ট হয়।
বিশেষ করে থাইরয়েড জাতীয় অসুখ থাকলে ডাবল চিন বা গালের অংশে মেদ জমে বেশি। কেবল শরীরের অন্য অংশের মেদ কমাতে যে সব কৌশল কাজে আসে, তার সবগুলো মুখের মেদ কমাতে সাহায্য করে না। বরং মুখের জন্য আলাদা করে কিছু কৌশল ও ব্যায়াম করতে হয়।
মুখের ব্যায়াম
মুখমণ্ডলের জন্য কিছু বিশেষ ব্যায়াম আছে। মুখের মেদ কমাতে ও পেশির শক্তি বাড়াতে এই সব ব্যায়াম করা প্রয়োজন। চুইংগাম চিবনোর মতো ভঙ্গি, জিভ বের করে ২০ সেকেন্ড রেখে দেয়া এমন অনেক সহজ ব্যায়াম আছে। এসব ব্যায়ামেই মুখের মেদ কমবে অনেকটাই।
অ্যালকোহলের মাত্রা
মুখের মেদ কমাতে অ্যালকোহলের মাত্রা কমাতে হবে। মদ যেমন চর্বি বাড়ায়, তেমনই মুখের মেদ বাড়ারও একটি কারণ।
খাবার
মুখের মেদ কমাতে চিনি, সোডা, ময়দার পাউরুটি, ভাত, ময়দাজাত নানা খাবার এসব কম খেতে হবে। কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত ঠাণ্ডা ফলের রস, চকলেট আইসক্রিমও মেদ বাড়ায়। তাই এগুলো খাওয়া যাবে না।
সোডিয়ামের মাত্রা
শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে ও মুখ ফুলে যায়। বেশির ভাগ প্যাকেটজাত খাবারেই অতিরিক্ত লবণ থাকে। তাই শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখুন। খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ একেবারেই খাবেন না।
কার্ডিও অ্যারোবিক্স
মেদ কমাতে যে পরিমান শরীরচর্চা করছেন, তার সাথে যোগ করুন কার্ডিও অ্যারোবিক্স। এমন অ্যারোবিক্স দ্রুত মুখের অতিরিক্ত মেদ কমায়।